‘গাড়িটা মাকে আর দেহটা বাবাকে দিও’ খোলা চিঠি লিখে যুবকের আত্মহত্যা

আমি নিজ ইচ্ছায় মৃত্যু বরণ করতেছি, আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী থাকবে না। আমার মৃত্যুর পর দেহ আমার বাবার কাছে দিলে কৃতজ্ঞ থাকবো। আর আমার গাড়িটা আমার মায়ের কাছে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো,’ আত্মহত্যার আগে এভাবেই নিজের শেষ কথাগুলো লিখেছেন রিপন কুমার মোদক (২৪)।

রিপন কুমার মোদক ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস নামক একটি বেসরকারি কোম্পানির মেডিকেল প্রমোশন অফিসার (এমপিও) পদে কর্মরত ছিলেন। থাকতেন নাটোরের সিংড়া উপজেলায়। ধারণা করা হচ্ছে, প্রেমঘটিত সম্পর্কের কারণে হতাশা থেকে তিনি আত্মহত্যা করেছেন।

রোববার (৩১ আগস্ট) দুপুরে সিংড়া পৌর শহরের কাঁটাপুকুরিয়া এলাকার ভাড়া বাসায় বেশ ডাকাডাকি করেও তার কোনো সাড়া না পেয়ে পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ এসে ঘরের দরজা ভেঙে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মরদেহের পাশে একটি চিঠি পাওয়া গেছে। পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি নাটোর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।

রিপনের সহকর্মীদের সূত্রে জানা গেছে, তিনি গত আড়াই বছর ধরে যশোরের একজন নার্সিং শিক্ষার্থীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে ছিলেন। সম্প্রতি ওই মেয়েটির বিয়ে হয়ে যাওয়ায় রিপন মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন। এর পর থেকেই তিনি অস্বাভাবিক জীবনযাপন করছিলেন। সহকর্মীরা মনে করছেন, এই হতাশার কারণেই তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন।

রিপন কুমার মোদক রংপুর জেলার পীরগাছা উপজেলার দেউতি গ্রামের সুবলচন্দ্র মোদকের পুত্র। গত তিন মাস আগে তিনি ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানিতে এমপিও হিসেবে যোগদান করে নাটোরের সিংড়ায় কর্মরত ছিলেন।

প্রাথমিকভাবে এটিকে আত্মহত্যা বলেই ধারণা করছে পুলিশ। তারা জানিয়েছে, ময়নাতদন্তের চূড়ান্ত রিপোর্ট এবং অন্যান্য দিক খতিয়ে দেখে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *