মৃত্যুর আগে ফেসবুকে যা লিখে গেলেন সেই শিক্ষার্থী

ফেসবুকে অভিমানী পোস্ট দেওয়ার ৫ ঘণ্টা পর ‘আত্মহত্যা’ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী সাঞ্জু বারাইক।

সোমবার (১৪ জুলাই) ভোরে ঢাবির জগন্নাথ হলের নবনির্মিত রবীন্দ্র ভবনের ছাদ থেকে লাফিয়ে তার মৃত্যু হয়।

নিহত সাঞ্জু বারাইক ঢাবির নৃবিজ্ঞান বিভাগের ২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী। তিনি জগন্নাথ হলে থাকতেন। তার বাড়ি হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলায়।

‘আত্মহত্যার’ পাঁচ ঘণ্টা আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সাঞ্জু লেখেন, আমি আমার ভুল বুঝতে পেরেছি, আমি দিনের পর দিন কাউকে ডিস্টার্ব করে গেছি, উল্টো মানুষকে দোষারোপ করা আমার একদম ঠিক হয়নি, আমি সকলের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। আমি দিনের পর দিন অন্যায় করেছি, নিজের দোষ ঢেকে অপরজনকে দোষ দেওয়া আমার ঠিক হয়নি। আমি সকলের কাছে ক্ষমা চাচ্ছি, আমার কারণে কারো কোনো ক্ষতি হলে সে দায় একান্তই আমার, আমি ক্ষমা চাচ্ছি। 

সাঞ্জুর ‘আত্মহত্যা’ বিষয়ে জগন্নাথ হলের প্রাধ্যক্ষ দেবাশীষ পাল বলেন, ছেলেটি কিছুদিন ধরে মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন। তার বন্ধুদের সাথে কথা বলে জানতে পারি গত দুইদিন ধরে সে হলে ছিল না। আজ ভোর ৪টার দিকে সে হলে আসে এবং ৪টা ১০ মিনিটে হলের ছাদে যায়।  

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমেদ জানান, সকালে রক্তাক্ত অবস্থায় মরদেহটি পড়ে ছিল। পরে মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে। তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে। 

শাহবাগ থানার ওসি খালিদ মুনসুর বলেন, হলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে, ওই যুবক ভবন থেকে পড়ে গেছেন। তবে তিনি পড়ে গেছেন না-কি লাফ দিয়েছেন বিষয়টি জানা যায়নি। প্রাথমিক ধারণা তিনি আত্মহত্যা করেছেন। তদন্ত শেষে সঠিক কারণ জানা যাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *