কোন ভিটামিনের অভাবে কমে যায় পুরুষদের শুক্রাণু… হাত-পা ঝিঁঝিঁ, অসাড়!

ডা. শ্রীবাস্তবের মতে, ভিটামিন বি১২ এর অভাবের প্রধান লক্ষণগুলি হল ক্রমাগত ক্লান্তি এবং দুর্বলতা, হাত ও পায়ে ঝিঁঝিঁ পোকা বা অসাড়তা, স্মৃতিশক্তি এবং মনোযোগের অভাব, শ্বাসকষ্ট, মাথা ঘোরা, ফ্যাকাশে বা ফ্যাকাশে ত্বক, জিহ্বা ফুলে যাওয়া বা জ্বালাপোড়া

যখন আমাদের শরীরে কোনও পুষ্টির ঘাটতি দেখা দেয়, তখন এর লক্ষণগুলি স্পষ্টভাবে দেখা যায়। ভিটামিন বি১২ এমন একটি পুষ্টি উপাদান, যা আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

জৌনপুরের স্যালভেশন হাসপাতাল (Salvation Hospital) এর ডা. বিবেক শ্রীবাস্তব জানান, আজকাল ভারসাম্যহীন জীবনধারা, ফাস্ট ফুড এবং পুষ্টির অভাবের কারণে মানুষের মধ্যে ভিটামিন বি১২ এর ঘাটতি দ্রুত দেখা যাচ্ছে। এই ঘাটতি ধীরে ধীরে অনেক গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার জন্ম দিতে পারে, তাই এর লক্ষণগুলি সনাক্ত করা এবং সময়মতো চিকিৎসা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

আরও পড়ুনঃ গরম কবে থেকে কমবে জানালো আবহাওয়া অফিস!
ডা. শ্রীবাস্তবের মতে, ভিটামিন বি১২ এর অভাবের প্রধান লক্ষণগুলি হল ক্রমাগত ক্লান্তি এবং দুর্বলতা, হাত ও পায়ে ঝিঁঝিঁ পোকা বা অসাড়তা, স্মৃতিশক্তি এবং মনোযোগের অভাব, শ্বাসকষ্ট, মাথা ঘোরা, ফ্যাকাশে বা ফ্যাকাশে ত্বক, জিহ্বা ফুলে যাওয়া বা জ্বালাপোড়া, এবং কখনও কখনও মুখের ঘা। এই লক্ষণগুলি প্রায়শই ধীরে ধীরে বিকাশ লাভ করে এবং মানুষ এগুলিকে স্বাভাবিক ক্লান্তি বা দুর্বলতা ভেবে উপেক্ষা করে।

ভিটামিন বি১২ নখের স্বাভাবিক বৃদ্ধি এবং স্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য অপরিহার্য। এর অভাবে নখ দুর্বল হয়ে পড়ে এবং রং পরিবর্তিত হয়ে হলুদ হয়ে যেতে পারে।

আরও পড়ুনঃ বাড়ছে বাংলাদেশের আয়তন, জেগে ওঠেছে নতুন ভূমি ও হাজার কিমি ডুবোচর!
National Health Services (NHS)-এর গবেষকরা বলছেন, ভিটামিন বি১২-এর ঘাটতি প্রথম পরিলক্ষিত হয় শরীরের চার অংশে– হাত, হাতের পাতা, পা ও পায়ের পাতা। গবেষকদের মতে, যাঁদের ভিটামিন বি১২ এর ঘাটতি আছে শরীরে, তাঁদের এই চার অংশে অদ্ভুত একটি অনিভূতি হয়। ডাক্তারি পরিভাষায় একে বলে ‘ প্যারাসথেসিয়া’ বা ‘পিন অ্যান্ড নিডল’, অর্থাৎ এই চার অংশে ঝিঁঝি ধরে কিংবা সূক্ষ্ম ছুঁচ ফোটানোর অনুভূতি হয়। তবে অনেক ক্ষেত্রে নার্ভের নানা সমস্যা, মালটিপল স্ক্লেরোসিস, হাইপারথাইরয়েডিজম, কম রক্ত, হাইপারভেন্টিলেশন, ডায়াবেটিস-এর কারণেও ‘ প্যারাসথেসিয়া’ হতে পারে।

আরও পড়ুনঃ সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য আরও একটি সুখবর
সিকে বিড়লা হাসপাতালের স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ড. দীপিকা আগরওয়াল জানান, শুক্রাণুকে সুস্থ রাখতে জিঙ্ক, সেলেনিয়াম, ফলিক অ্যাসিড, ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টযুক্ত খাবার বেশি করে খাওয়া উচিত। এর জন্য বিভিন্ন ধরনের বীজ, ফল, চর্বিযুক্ত মাছ, বাদাম, সবুজ শাকসবজি, ডালিম, তরমুজ ইত্যাদি খান। এর পরে, নিয়মিত ব্যায়ামও প্রয়োজন।

Previous
বিছানায় আর এপাশ-ওপাশ নয়! শুলেই আসবে গভীর ঘুম, মেনে চলুন এই নিয়মগুলো!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *