সতর্কবার্তা, বিশৃঙ্খলা না থামলে রাতেই মাঠে নামবে সেনাবাহিনী

নেপালের সেনাবাহিনী মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, স্থানীয় সময় রাত ১০টার পরও যদি লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর চলতে থাকে, তবে সেনা সদস্যরা অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে মিলে সরাসরি মাঠে নামবেন।

সেনাবাহিনীর জনসংযোগ অধিদপ্তর থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়, কিছু গোষ্ঠী বর্তমান সংকটকে কাজে লাগিয়ে সাধারণ মানুষ ও রাষ্ট্রীয় সম্পদের ভয়াবহ ক্ষতি করছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘নাগরিকদের প্রতি আহ্বান, সংযম প্রদর্শন করুন ও ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম রোধে সহায়তা করুন। যদি এমন কার্যক্রম বন্ধ না হয়, সেনা ও অন্যান্য বাহিনীকে মোতায়েন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হবে।

এরপর সামগ্রিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি পুনর্মূল্যায়ন করা হবে।’

এর আগে সেনাপ্রধান বিক্ষোভের নেতৃত্বকে সংলাপের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ সমাধান খুঁজে বের করার আহ্বান জানিয়েছেন।

এক ভিডিও বার্তায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিনি বলেন, ‘বর্তমান কঠিন পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা এবং জাতির সর্বোচ্চ স্বার্থ রক্ষা করা সবার যৌথ দায়িত্ব। তাই আমি অনুরোধ করছি, বিক্ষোভ কর্মসূচি স্থগিত করুন ও সংলাপের পথে এগিয়ে যান।

তিনি দেশব্যাপী বিক্ষোভে জনসম্পদের ক্ষতির জন্য গভীর দুঃখ প্রকাশ করেন ও নিহতদের পরিবারকে সমবেদনা জানান। আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন।

জেনারেল সিগদেল জোর দিয়ে বলেন, ‘শান্তি, নিরাপত্তা ও জাতীয় ঐক্য বজায় রাখা প্রত্যেক নেপালি নাগরিকের দায়িত্ব। ইতিহাস সাক্ষ্য দিচ্ছে, নেপাল সেনাবাহিনী সব সময় দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, ভৌগোলিক অখণ্ডতা, জাতীয় ঐক্য ও জনগণের নিরাপত্তা রক্ষায় অঙ্গীকারবদ্ধ।

তিনি সতর্ক করেন, বিক্ষোভ কোনোভাবেই জাতীয় ও ঐতিহাসিক ঐতিহ্য, সরকারি ও বেসরকারি সম্পদ, সাধারণ নাগরিক কিংবা বিদেশি কূটনৈতিক মিশনের নিরাপত্তাকে বিপন্ন করতে পারবে না।

বার্তার শেষে সেনাপ্রধান সকল নাগরিককে দেশপ্রেম, সামাজিক সম্প্রীতি ও ঐক্য বজায় রেখে একসঙ্গে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান।

সেনাবাহিনীর এই সতর্কবার্তা এমন সময় এসেছে, যখন সিংহদরবার, সুপ্রিম কোর্ট ও সংসদ ভবনসহ একাধিক রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান দাউ দাউ করে জ্বলছে। দিনের বেলায় বিক্ষোভকারীরা এসব ভবন দখল করে আগুন লাগায়। রাজনৈতিক নেতা, পুলিশ ও সরকারি অবকাঠামোর ওপর ধারাবাহিক হামলায় দেশ কার্যত জরুরি পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছে। সূত্র : খবরহাব

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *